বাউফলে ৫১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ৫টি বসতঘর তেঁতুলিয়া নদী গর্ভে বিলীন

  বাউফলে ৫১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও  ৫টি বসতঘর তেঁতুলিয়া নদী গর্ভে বিলীন

মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাউফল:পটুয়াখালীর বাউফলে তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন বিলীন হচ্ছে বাড়ি ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জনপথ ও আবাদি জমি। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৫১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একই বাড়ির ৫টি ঘর  তেঁতুলিয়া নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।এই অব্যাহত ভাঙ্গনে দিশে হারা উপজেলার ধূলিয়া এলাকার জনগন।  
এলাকাবাসী জানান,বৃহস্পতিবার  রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর তীব্র ভাঙ্গনে ধুলিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় সুমন গাজী,বিকাশ রায়, স্বপনমিস্ত্রি, কৃষ্ণ দাস, রতনরায়, নয়নগাজী, সোহরাব হোসেন, খলিল শরীফ,ননীসীল, রিয়াজ স্বন্যমত, দুলালরাড়ি, উত্তমঘরামি, লিটু মৃধা, নিমুঘরামি, নিজাম হাওলাদার, অমৃত মন্ডল, ভুবারন মন্ডল, দিলীপ হাওলাদার, মোশারেফ সর্দার, আবু ছালে, মোহাম্মদ হারুন, বিমল দাস, শাহিন মৃধা, মন্টু রাড়ি,কবির ডাওরী, কমল সীল, তপন সেন, সুলতান ফকির, সুধাংশু, মীর হাবিবুর রহমান, রাসেল শরীফ, জলিল সওদাগর, হেলাল সওদাগর, শামিম মৃধা, যতীন রক্ষিত, আবুল গাজী, জাকির গাজী, রবমিয়া, আবুল কালাম উকিল, সোহেল মৃধা, খলিল গাজী,বাবুল মৃধা, ইসমাইল, অসীম, মতিয়ার রহমান, মিজান, জলিল চৌকিদার, সিদ্দিক প্যাদা,রিপন,সুন্দর আলী খান, জাহাঙ্গীর মোল্লা,সালেহ মুসলমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাজার এলাকায় পান্নু মোল্লা বাড়ির ৫টি ঘর ও একটি মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এ ছড়া ও ধুলিয়া দাখিল মাদ্রাসা এক তৃতীয়াংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে মাদ্রাসা টিন সেট ভবনের বাকি অংশ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ওই এলাকার মানুষ এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা মহিবুল ইসলাম মান্না হাওলাদার জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে তেঁতুলিয়া নদীর অব্যহত ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে ধুলিয়া ইউনিয়ন। এই সময়ে সহস্্রাধিক বাড়ি ঘর, ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনপদ সহ কয়েক হাজার হেক্টর আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।
পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, গত ১৮ আগস্ট একনেকেরএক সভায় বাউফলের ধুলিয়া লঞ্চঘাট থেকে বাকেরগঞ্জের দূর্গাপাশা পর্যন্ত ভাঙ্গন রোধে জিওবির অর্থায়নে ৭শ ১২ কোটি ২১ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। চলতি বছর জুন থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা  দ্রæত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।